DJ Billal photo

DJ Billal photo
DJ Billal photo

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৪

স্বদেশ-বিদেশ মুসলিম জাহান সংগঠন সংবাদ প্রশ্নোত্তর Welcome To Dj Billalv mobile 01836946377


স্বদেশ-বিদেশ
মুসলিম জাহান
সংগঠন সংবাদ
প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নোত্তর

দারুল ইফতা
হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

প্রশ্ন (১/৪৪১) : অবৈধ খাতে অর্থ ব্যয় করে যদি কেউ ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে তাহ’লে সে ‘গারেমীন’ হিসাবে যাকাতের হকদার হবে কি?Welcome To Dj Billalv mobile 01836946377
-আব্দুল্লাহ, মিয়াঁপাড়া, গোপালগঞ্জ।

উত্তর : অবৈধ পথে ব্যয়কারী ব্যক্তি যদি সত্যিকারভাবে অনুতপ্ত হয়ে এরূপ কাজ থেকে খালেছ অন্তরে তওবা করে, তবে তাকে ঋণ পরিশোধের জন্য যাকাতের টাকা দেওয়া যেতে পারে। নইলে তাকে হারাম পথে ব্যয়ে উৎসাহিত করা হবে, যা সিদ্ধ নয় (মায়েদাহ ২)। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে একজন লোক ফল বাগান কিনে, পরে বাগানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এতে তার ঋণ হয়ে যায়। রাসূল (ছাঃ) তাকে দান করার জন্য বলেন, মানুষ তাকে দান করে। তাতেও তার কর্য পরিশোধ হয় না। নবী করীম (ছাঃ) ঋণদাতাদের বলেন, তোমরা যা পেয়েছ তা গ্রহণ কর, এটাই তোমাদের জন্য শেষ (মুসলিম হা/১৫৫৬)।

প্রশ্ন (২/৪৪২): ইফতারের পূর্বে সবাই মিলে হাত তুলে দো‘আ করার বিধান আছে কি? এ সময় দো‘আ করলে কি বেশী নেকী হয়?Welcome To Dj Billalv mobile 01836946377

-নাহীদ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।

উত্তর : ইফতারের পূর্বে সবাই মিলে হাত তুলে দো‘আ করার কোন প্রমাণ নেই; বরং এটা শরী‘আতে একটি নতুন সৃষ্টি, যা পরিতাজ্য। ইফতারের সময় দো‘আ কবুল হয় মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (ইবনু মাজাহ হা/১৭৫৩, সনদ যঈফ)। এ সময় দো‘আ করলে অধিক নেকী হয় বলে কোন প্রমাণ নেই। বরং ছিয়াম পালনকারীর দো‘আ সর্বদাই কবুল হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তিন শ্রেণীর লোকের দো‘আ ফেরত দেয়া হয় না (১) পিতা-মাতার দো‘আ (২) ছিয়াম পালনকারীর দো‘আ (৩) মুসাফিরের দো‘আ (বায়হাক্বী, ছহীহাহ হা/১৭৯৭)।

প্রশ্ন (৩/৪৪৩) : জনৈক আলেম বলেন, সূরা আহযাবের ৬ ও সূরা কাওছারের ৩ আয়াত দ্বারা এটা প্রমাণিত হয় যে, রাসূল (ছাঃ) আমাদের রূহানী পিতা। বিষয়টি জানতে চাই।Welcome To Dj Billalv mobile 01836946377


-মীযান, রংপুর।

উত্তর : সূরা আহযাবের ৬ আয়াতে বলা হয়েছে যে, নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের চেয়েও অধিক ঘনিষ্ঠতর এবং তাঁর স্ত্রীগণ মুমিনগণের মাতা’। এখানে রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রীগণকে মা বলার কারণে রাসূল (ছাঃ) যে তাদের পিতা এটা বুঝায় না। বরং এখানে মুমিনগণের নিকটে রাসূল (ছাঃ) কিরূপ প্রিয় হওয়া উচিত সে ব্যাপারে বলা হয়েছে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ মুমিন হ’তে পারবে না, যতক্ষণ না  আমি  তার  নিকটে  প্রিয়তর হব তার

পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও দুনিয়ার সকল মানুষের চেয়ে’ (বুখারী হা/১৫)। এমনকি তার নিজের জীবনের চাইতে (বুখারী হা/৬৬৩২)। এখানে নবীর স্ত্রীগণকে উম্মতের মা বলে সম্মানিত করা হয়েছে এবং মায়ের মত মর্যাদা দিয়ে তাঁদেরকে বিবাহ করা হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।

আর সূরা কাওছারের ৩ আয়াতে রাসূল (ছাঃ)-কে কুফফারে কুরায়েশ কর্তৃক ‘নির্বংশ’ বলে আখ্যায়িত করার প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে যে, কেবল পুত্রসন্তানই পিতার বংশ রক্ষার একমাত্র মাধ্যম নয়। বরং কন্যা সন্তানের মাধ্যমেও আল্লাহ সে উদ্দেশ্য সাধন করতে পারেন। যেমন ফাতেমার সন্তান হাসান ও হোসায়েনের মাধ্যমে আল্লাহ সেটা করেছেন। দ্বিতীয়তঃ মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর রয়েছে এবং থাকবে চিরকাল ক্বিয়ামত পর্যন্ত লাখো-কোটি অনুসারী উম্মতে মুহাম্মাদী, যারা পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর নাম উচ্চারণ করবে, তাঁকে ভালবাসবে এবং তাঁর রেখে যাওয়া দ্বীন ইসলামের অনুসরণ করবে। সুতরাং এ আয়াত থেকে ভুল বুঝার কোন অবকাশ নেই। বরং প্রত্যেক নবীই স্ব স্ব উম্মতের নেতা। সে হিসাবে আমাদের নবী আখেরী যামানার উম্মতের ধর্মীয় নেতা। কারো রূহানী পিতা নন। বরং এ কথাটিই অবান্তর।

প্রশ্ন (৪/৪৪৪): সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ অবস্থায় কোন কিছু খাওয়া ও পান করা কি নিষিদ্ধ?Welcome To Dj Billalv mobile 01836946377

-হেলালুদ্দীন, লতীফগঞ্জ, চাঁদপুর।

উত্তর : এ সময় খাওয়া ও পান করা নিষিদ্ধ নয়। বরং নিষিদ্ধ মনে করাটা কুসংস্কার মাত্র। এ সময় সব ছেড়ে ছালাতে রত হ’তে হবে, যাকে ছালাতুল কুসূফ ও খুসূফ বলা হয়। অতঃপর বেশী বেশী দো‘আ করতে হবে, তাকবীর দিতে হবে এবং ছাদাক্বা করতে হবে (বুখারী হা/১০৪৪)। এছাড়া এ সময় কবরের শাস্তি হ’তে পরিত্রাণ চাইতে হবে (বুখারী হা/১০৫৭; মিশকাত হা/১৪৮২-৮৪)। মূলতঃ এর মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বান্দাকে ভয় দেখিয়ে থাকেন (বুখারী হা/১০৪৮)। যাতে বান্দা তাঁর প্রতি অধিকতর রুজূ হয়।

প্রশ্ন (৫/৪৪৫): আমাদের সমাজে সন্তানের খাৎনা উপলক্ষে বড় অনুষ্ঠান করে মানুষকে খাওয়ানো হয় এবং সন্তানকে নতুন কাপড় কিনে দিয়ে ধারণা করা হয় যে, সে আজ থেকে প্রকৃত মুসলমান হ’ল। শরী‘আতে এসব কাজের কোন ভিত্তি আছে কি?Welcome To Dj Billalv mobile 01836946377

-গাওছুল আনাম, রিয়ায।

উত্তর : শরী‘আতে এরূপ অনুষ্ঠানের কোন ভিত্তি নেই। বরং এগুলি কুসংস্কার মাত্র। খাৎনা ইসলামের একটি নিদর্শনমূলক সুন্নাত, যাকে হাদীছে ফিৎরাত সমূহের মধ্যে গণ্য করা হয়েছে (বুখারী হা/৫৮৮৯)। আর প্রত্যেক শিশুই ফিৎরাতের উপর তথা ইসলামের উপরে জন্মগ্রহণ করে (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/৯০; রূম ৩০)। সুতরাং মুসলিম পিতামাতার সন্তান খাৎনার মাধ্যমে নতুনভাবে মুসলমান হওয়ার ধারণা করাটা অবান্তর। তবে উপমহাদেশে এটাকে ‘মুসলমানী’ বলা হয় প্রতিবেশী হিন্দুদের থেকে মুসলিম সন্তানদের পার্থক্য নির্দেশ করার জন্য। মুসলমান হওয়া বুঝানোর জন্য নয়। তবুও ওটা না বলে ‘খাৎনা’ বলাই উত্তম। সুন্নাতের উপর আমল করা ও এর মাধ্যমে নেকী হাছিলের উদ্দেশ্যে পিতা-মাতা তাদের পুত্র সন্তানদের জন্য এটা করবেন।

প্রশ্ন (৬/৪৪৬) : রাসূল (ছাঃ) মদীনায় হিজরতের ১৭ মাস পরে কিবলা পরিবর্তন হয়। তাঁর পূর্বে রাসূল (ছাঃ) কোন দিকে ফিরে ছালাত আদায় করতেন?Welcome To Dj Billalv mobile 01836946377

-আব্দুল্লাহ আল-মামূন, টাঙ্গাইল। 

উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মক্কায় কা‘বা গৃহের দিকে ফিরেই ছালাত আদায় করতেন। মদীনায় হিজরতের পর আল্লাহর নির্দেশে ১৬/১৭ মাস বায়তুল মুক্বাদ্দাসের দিকে ফিরে ছালাত আদায় করেন। পরে আল্লাহর হুকুমে পুনরায় কা‘বার দিকে ফিরে ছালাত আদায় শুরু করেন (বুখারী হা/৩৯৯, মুসলিম হা/৫২৭; বাক্বারাহ ১৪৪)।

প্রশ্ন (৭/৪৪৭) : জনৈক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দিতে চায়। তাদের দু’টি সন্তান রয়েছে। এখন সন্তান দু’টি কার নিকটে থাকবে।Welcome To Dj Billal mobile 01836946377

-আব্দুল্লাহ, ইপিজেড, সাভার, ঢাকা।

উত্তর : সন্তানের মালিক মূলতঃ পিতা। আল্লাহ বলেন, তোমাদের স্ত্রীরা গর্ভবতী থাকলে সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত তাদের ভরণ-পোষণের জন্য তোমরা ব্যয় কর। অতঃপর যদি তারা তোমাদের সন্তানদের স্তন্যদান করে, তবে তাদেরকে পারিশ্রমিক দাও এবং সন্তানের কল্যাণ বিষয়ে তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে নিজেদের মধ্যে পরামর্শ কর। কিন্তু যদি তোমরা নিজ নিজ দাবীতে অটল থাকো, তাহ’লে অন্য নারী তার পক্ষে স্তন্যদান করবে (তালাক ৬)। অনেক সময় সন্তানের মায়ের কাছে থাকাটা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। তখন সে মায়ের কাছেই থাকবে। যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, জনৈকা মহিলা এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! এটা আমার ছেলে, আমার পেট তার গর্ভ, আমার স্তন তার পানপাত্র, আমার কোল তার আশ্রয়স্থল। তার পিতা আমাকে তালাক দিয়েছে। সে আমার থেকে একে ছিনিয়ে নিতে চায়। রাসূলুললাহ (ছাঃ) তাকে বললেন, তুমি অন্যত্র যতদিন বিবাহ না করছ, ততদিন তুমি এর বেশী হকদার (আহমাদ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৩৭৮)।

প্রশ্ন (৮/৪৪৮) : কালেমা দিনে কত বার পড়তে হবে। দলীল ভিত্তিক জানিয়ে বাধিত করবেন।Welcome To Dj Billal mobile 01836946377

-মিনারুল ইসলাম

দারুশা, পবা, রাজশাহী।

উত্তর : উত্তম যিকির হিসাবে কালেমায়ে ত্বাইয়েবা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ দিনে যতবার খুশী পড়া যাবে (তিরমিযী, মিশকাত হা/২৩০৬)। এছাড়া কালেমায়ে তাওহীদ দিনে একশত বার পড়ার কথা হাদীছে এসেছে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৩০২)। আর কালেমা তামজীদ আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় (মুসলিম, মিশকাত হা/২২৯৪)। অতএব তা যতবার খুশী পড়া যায়।

প্রশ্ন (৯/৪৪৯): পিতা-মাতার অবাধ্য হয়ে ছেলে-মেয়ে বিবাহ করায় পিতা-মাতা উক্ত সন্তানকে পরিত্যাগ করেছে। এ ছেলে-মেয়ে কি পিতা-মাতার সম্পদের ওয়ারিছ হবে?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377
-আসাদুল্লাহ আল-গালিব

মহাদেবপুর, নওগাঁ।

উত্তর : পিতা-মাতার অবাধ্য হ’লে ছেলে-মেয়ে কবীরা গোনাহগার হয়। কিন্তু তাদের সম্পদ হ’তে বঞ্চিত হয় না। সন্তানকে ত্যাজ্যপুত্র করা বা সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা নিষিদ্ধ। বরং পিতা-মাতা একাজ করলে সন্তানের হক নষ্ট করা হবে, যা পরকালে নিজের নেকী থেকে তাকে পরিশোধ করতে হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৫১২৭)। তবে সন্তান ‘মুরতাদ’ হ’লে কিংবা অন্যায়ভাবে পিতা বা মাতাকে হত্যা করলে সে তাদের সম্পদ থেকে বঞ্চিত হবে (বুখারী, মুসলিম, আবুদাঊদ মিশকাত হা/৩০৪৩, ৩৫০০)। এক্ষেত্রে অবাধ্য ছেলে-মেয়েকে পিতা-মাতার কাছে এসে ক্ষমা চাইতে হবে এবং সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে হবে। কেননা পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি’ (তিরমিযী হা/১৮৯৯) এবং মায়ের পদতলে সন্তানের জান্নাত (নাসাঈ হা/৩১০৪)। এখানে উভয়পক্ষকে নমনীয় হ’তে হবে। কেননা ‘রক্তসম্পর্ক ছিন্নকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৯২২)।

প্রশ্ন (১০/৪৫০) : পেশাব পরিপূর্ণভাবে শেষ হ’তে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী দেরী হ’লে করণীয় কি? ডাক্তারের বক্তব্য অনুযায়ী কোন অসুখ নেই। কিন্তু এ কারণে প্রায়ই ছালাত ছুটে যায়।Welcome To Dj Billal mobile 01836946377
-মুনির, নিউইয়র্ক, আমেরিকা।

উত্তর : এক্ষেত্রে করণীয় হ’ল ছালাতের জন্য আগেই প্রস্ত্ততি  নেওয়া। পেশাব পূর্ণভাবে হওয়ার সময় দিতে হবে। কারণ পেশাব থেকে পবিত্রতা হাছিল না করার কারণে কবরে বিশেষভাবে শাস্তি হয় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩৩৮)।

প্রশ্ন (১১/৪৫১) : চুল পড়ে যাওয়ার কারণে নতুন চুল গজানোর জন্য যে চিকিৎসা গ্রহণ করা হয় তা কি শরী‘আত সম্মত?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377
- সাঈদুর রহমান

শৌলমারী, মেহেরপুর।

উত্তর : এটি একটি রোগ। যার জন্য চিকিৎসা গ্রহণ করা জায়েয। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা এমন কোন রোগ নাযিল করেননি, যার জন্য আরোগ্য নাযিল করেননি (বুখারী হা/৫৬৭৮, মিশকাত হা/৪৫১৪)। এছাড়া এ চিকিৎসার মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন আনা হয় না বা অস্বাভাবিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয় না। বরং শারীরিক ত্রুটির চিকিৎসা করা হয় মাত্র। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক রোগের ঔষধ রয়েছে। যখন সেটা পৌঁছে যায়, তখন সে রোগমুক্ত হয় আল্লাহর হুকুমে (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫১৫)। তিনি বলেন, তোমরা চিকিৎসা করাও। তবে হারাম বস্ত্ত দিয়ে করো না’ (আবুদাঊদ, ছহীহাহ হা/১৬৯৩; মিশকাত হা/৪৫৩৮)। 

প্রশ্ন (১২/৪৫২) : দশবছর বয়সে সন্তানের বিছানা পৃথক করার হুকুম কি ছালাত আদায় না করার শাস্তি স্বরূপ, না সাধারণ হুকুম?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377
- মুহাম্মাদ আসলাম

ইকবালপুর, জামালপুর।

উত্তর : এটি সাধারণ হুকুম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের সন্তানরা যখন সাত বছরে পদার্পণ করে তখন তাকে ছালাতের নির্দেশ দাও এবং দশ বছর হ’লে তাদের প্রহার কর। আর তাদের বিছানা পৃথক করে দাও’ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫৭২)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমাদের সন্তান সাত বছরে উপনীত হ’লে তাদের বিছানা পৃথক করে দাও। আর দশ বছরে উপনীত হ’লে তাদেরকে ছালাতের জন্য প্রহার কর’ (হাকেম, ছহীহুল জামে‘ হা/৪১৮)। অর্থাৎ সাত বছর বয়সে সন্তানকে পিতা-মাতা থেকে পৃথক বিছানায় স্থানান্তর করতে হবে। এছাড়া ভাই ও বোনদের পরস্পরের মাঝেও পৃথক বিছানা থাকা উচিত। কারণ এতে ফিৎনার আশংকা থেকে নিরাপদ হওয়া যায় (ফৎহুলবারী ৭/২০৪)।

প্রশ্ন (১৩/৪৫৩) : মুওয়াযযিনের নির্ধারিত কোন নেকী আছে কি? নির্দিষ্ট কয়েক বছর আযান দিলে বিশেষ নেকী রয়েছে কি?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377

-আফসার আলী,

গোমস্তাপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

উত্তর : আছে। মুওয়াযযিনের মর্যাদা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, মুওয়ায্যিনের আযানের ধ্বনি জিন ও ইনসান সহ যত প্রাণী শুনবে, ক্বিয়ামতের দিন সকলে তার জন্য সাক্ষ্য প্রদান করবে’ (বুখারী, মিশকাত হা/৬৫৬)। তিনি বলেন, ক্বিয়ামতের দিন মুওয়ায্যিনের গর্দান সবচেয়ে উঁচু হবে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৪)। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বারো বছর যাবৎ আযান দিল, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেল। তার প্রতি আযানের জন্য ৬০ নেকী ও এক্বামতের জন্য ৩০ নেকী লেখা হয়’ (ইবনু মাজাহ হা/৭২৮, মিশকাত হা/৬৭৮)। তবে ৭ বছর আযান দিলে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/২০৬, মিশকাত হা/৬৬৪)।

প্রশ্ন (১৪/৪৫৪) : তাজবীদ শিক্ষা ব্যতীত কুরআন পাঠ করা জায়েয কি?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377

-আফসার আলী

কোদালকাটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

উত্তর : জায়েয। তবে কুরআন সঠিকভাবে তেলাওয়াতের জন্য তাজবীদ শিক্ষা করা একান্ত যরূরী। কেননা আল্লাহ বলেন, তুমি কুরআন পাঠ কর ধীরে ধীরে (মুযযাম্মিল ৭৩/৪)। ‘তারতীল’ অর্থ সুশৃংখলভাবে যথানিয়মে পাঠ করা (কুরতুবী)। অতএব সঠিক উচ্চারণে কুরআন তেলাওয়াতের চেষ্টা করা অবশ্যই প্রয়োজন। নইলে ইচ্ছাকৃত ভুল উচ্চারণে গোনাহগার হ’তে হবে।

প্রশ্ন (১৫/৪৫৫) : সকাল-সন্ধ্যা পঠিতব্য মাসনূন দো‘আসমূহ কি ছালাতের স্থানেই বসে পাঠ করতে হবে, না যেকোন সময় পাঠ করা যাবে?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377

-মুহাম্মাদ মুনীর,

ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল।

উত্তর : ছালাত শেষে পঠিতব্য দো‘আ সমূহ ছালাতের স্থানে বসে পাঠ করাই উত্তম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সবচেয়ে বেশী দো‘আ কবুল হয় শেষ রাতে এবং প্রত্যেক ফরয ছালাতের শেষে (তিরমিযী, মিশকাত হা/৯৬৮)। তবে সাধারণ দো‘আসমূহ যেকোন সময় পাঠ করা যায়। রাসূল (ছাঃ) সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করতেন (মুসলিম হা/৩৭৩; মিশকাত হা/৪৫৬))।

প্রশ্ন (১৬/৪৫৬) : তামাক আবাদ করা জায়েয হবে কি? যারা হারাম জিনিস বেচা-কেনা করে তাদের ইবাদত কবুল হবে কি?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377

-হাবীবুর রহমান সিরাজী

এনায়েতপুর, সিরাজগঞ্জ।

উত্তর : তামাক আবাদ করা হারাম। তামাক একদিকে যেমন নেশাকর বস্ত্ত অন্যদিকে তেমনি শরীরের জন্য চরম ক্ষতিকর। এতে নিকোটিন বিষ থাকে। সেকারণ ধূমপানকে বিষপান বলা হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ো না ও অন্যের ক্ষতি করো না’ (ইবনু মাজাহ হা/২৩৪০; ছহীহাহ হা/২৫০)। এরূপ সকল প্রকার নাপাক বস্ত্তকে আল্লাহ হারাম করেছেন (আ‘রাফ ১৫৭)। তামাক গাছ একটি মাদকতা সৃষ্টিকারী বৃক্ষ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মাদকতা আনয়নকারী প্রত্যেক বস্ত্তই মদ এবং প্রত্যেক মাদকদ্রব্য হারাম। যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মদ্য পান করল ও তাতে অভ্যস্ত হ’ল। অথচ তওবা না করে মারা গেল, সে আখেরাতে (হাউয কাউছারের পানি) পান করতে পারবে না’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৩৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যার বেশী পরিমাণে মাদকতা আসে, তার কম পরিমাণও হারাম (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/৩৬৪৫)।

রাসূলু্ল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কোন ব্যক্তি কাতর কণ্ঠে আল্লাহকে ডাকে। অথচ তার খাদ্য, পানীয় ও পরিধেয় বস্ত্র সবই হারাম। তার দো‘আ কিভাবে কবূল হ’তে পারে? (মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬০, ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়, ‘উপার্জন করা ও হালাল অন্বেষণ’ অনুচ্ছেদ)। অতএব তামাক, গাজা, আফিমসহ সকল প্রকার হারাম বস্ত্ত উৎপাদন, বিপণন ও তা ভক্ষণ করা থেকে তওবা করতে হবে। নইলে পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত হ’তে হবে।

প্রশ্ন (১৭/৪৫৭) : জনৈক মহিলার স্বামী ৯ বছর যাবৎ নিখোঁজ। এক্ষণে তাদের বিবাহ থাকবে কি? উক্ত মহিলার জন্য করণীয় কি?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377
-মাহফূযুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ।

উত্তর : নিখোঁজ স্বামীর জন্য স্ত্রী চার বৎসর অপেক্ষা করার পর অন্যত্র বিবাহ করতে পারে। ওমর ফারূক (রাঃ) বলেন, নিখোঁজ স্বামী জন্য স্ত্রী চার বৎসর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে (বায়হাক্বী হা/১৫৩৪৫, মুহাল্লা ৯/৩১৬ পৃঃ)। অত্র হাদীছটি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, যেমন- হাম্মাদ ইবনু সালামা, ইবনু আববাস, ইবনু আবী শায়বা, সাঈদ ইবনু মানছূর প্রমুখ (মুহাল্লা পৃঃ ঐ)। ওমর, ওছমান, আলী এবং অনেক তাবেঈ বিদ্বানও অনুরূপ ফৎওয়া প্রদান করেছেন (মুহাল্লা ৯/৩২৪ পৃঃ)। তবে স্বামী পরে ফিরে আসলে তার জন্য এখতিয়ার রয়েছে। সে তার প্রদত্ত মোহর ফেরৎ নিতে পারে কিংবা স্ত্রীকে ফেরত নিতে পারে। একদা ওমর (রাঃ) এক স্বামীকে মোহর ফেরত দেন এবং আরেক স্বামীকে তার স্ত্রী ফেরত দেন (মুহাল্লা ৯/৩১৭)। তবে ফিরে আসতে হ’লে স্ত্রীকে দ্বিতীয় স্বামী থেকে ‘খোলা’-এর মাধ্যমে পৃথক হওয়ার পর ইদ্দত পালন করতে হবে (মুছান্নাফ আব্দুর রায্যাক হা/১২৩২৫, বায়হাক্বী হা/১৫৩৪৭, ১৫৩৪৮)।

প্রশ্ন (১৮/৪৫৮) : সামর্থ্যহীন পিতা-মাতা সন্তানের নিকট থেকে অর্থ নিয়ে হজ্জব্রত পালন করতে পারবেন কি?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377
- আসীরুদ্দীন

মুর্শিদাবাদ, পঃ বঙ্গ, ভারত।

উত্তর : পিতা-মাতা ইচ্ছা করলে সন্তানের অর্থ নিয়ে নিজে হজ্জ করতে পারবেন। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের সন্তানগণ তোমাদের উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত’ (আবুদাঊদ, নাসাঈ, তিরমিযী, মিশকাত হা/২৭৭০)। তিনি অন্যত্র বলেন, ‘তোমাদের সন্তানগণ তোমাদের পবিত্রতম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত। অতএব তোমরা তোমাদের সন্তানদের উপার্জন থেকে ভক্ষণ কর’ (আবুদাঊদ হা/৩৫৩০, মিশকাত হা/৩৩৫৪)। রাসূল (ছাঃ) আরও বলেন, ‘তুমি ও তোমার ধন-সম্পদ তোমার পিতার জন্য’ (ইবনু মাজাহ হা/২২৯১; ইরওয়া হা/৮৩৮)। অতএব সন্তানের উপার্জন পৃথক থাকলেও সেখান থেকে নেওয়ার অধিকার পিতা-মাতার রয়েছে এবং সে অর্থ নিয়ে তারা নির্দ্বিধায় হজ্জ করতে পারেন।

প্রশ্ন (১৯/৪৫৯) : একটি হাদীছে বলা হয়েছে, ইজতিহাদ সঠিক হ’লে দ্বিগুণ নেকী এবং বেঠিক হলে একটি নেকী’। এ হাদীছটি কি ছহীহ? ছহীহ হলে কোন কোন ক্ষেত্রে এ হাদীছটি প্রযোজ্য? যে কেউ কি ইজতিহাদ করতে পারে?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377
-রেযাউল হক

সোনালী ব্যাংক, রাজশাহী শাখা।

উত্তর : হাদীছটি ছহীহ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩৭৩২)। হাদীছটি ইসলামী আদালতের বিচারপতিদের ক্ষেত্রে বর্ণিত হ’লেও এটি বিজ্ঞ আলেম ও ফকীহগণের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যারা ছহীহ দলীল ভিত্তিক ফৎওয়া দিয়ে থাকেন। তবে ইজতিহাদকারীর জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। যেমন (ক) যে বিষয়ে ইজতিহাদ করবেন সে বিষয়ে কুরআন ও ছহীহ হাদীছের দলীল সম্পর্কে জ্ঞান থাকা। (খ) ছহীহ, যঈফ ও মওযূ‘ হাদীছ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা। (গ) নাসেখ ও মানসূখ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা। (ঘ) আরবী ভাষা ও উছূলে ফিক্বহের জ্ঞান থাকা। যেমন আম-খাছ, মুতলাক-মুকাইয়াদ, মুজমাল-মুবাইয়ান ইত্যাদি। (ঙ) কুরআন ও ছহীহ হাদীছ থেকে মাস‘আলা ইস্তিম্বাত করার যোগ্যতা থাকা (মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল-উছায়মীন, আল- উছূলু মিন ইলমিল উছূল ১/৮৫)। অতএব তাক্বওয়া ও যোগ্যতা ব্যতীত যে কেউ শরী‘আতের বিষয়ে ইজতিহাদ করতে পারবেন না।

প্রশ্ন (২০/৪৬০) : মুসলিম দেশে বসবাসকারী কোন অমুসলিমকে কোন মুসলমান শরী‘আতসম্মত কারণে হত্যা করে ফেললে তার বিধান কি?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377

-যুবায়ের আহমাদ

 বংশাল, ঢাকা।

উত্তর : যে কোন অপরাধ রাষ্ট্রীয় ইসলামী আদালতের মাধ্যমে প্রমাণিত হওয়ার পূর্বে কারো জন্য আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া জায়েয নয়। এরূপ করলে উক্ত ব্যক্তি অপরাধী হিসাবে গণ্য হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, চুক্তিবদ্ধ অমুসলিমকে হত্যাকারী ব্যক্তি জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না (বুখারী, মিশকাত হা/৩৪৫২)। তবে কাফেরকে হত্যার বদলে কোন মুসলিমকে হত্যা করা যাবে না (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৪৭৫)। এক্ষেত্রে রক্তমূল্য দিতে হবে। কাফেরের রক্তমূল্য মুসলিমের রক্তমূল্যের অর্ধেক এবং চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তির রক্তমূল্য স্বাধীন নাগরিকের অর্ধেক (আবুদাঊদ হা/৪৫৮৩, মিশকাত হা/৩৪৯৬)। রাসূল (ছাঃ)-এর সময়ে একজন মুসলিমের রক্তমূল্য ছিল ১০০ উট এবং আহলে কিতাব, অমুসলিম কিংবা চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তির জন্য ছিল তার অর্ধেক (আবুদাঊদ হা/৪৫৪২, ৪৫৮৩; নাসাঈ হা/৪৭৯৩; মিশকাত হা/৩৪৯২, ৩৪৯০)। প্রশ্নে বর্ণিত অপরাধের ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি শাস্তিপ্রাপ্ত না হ’লে তওবা করবে ও আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে (যুমার ৫৩)।

প্রশ্ন (২১/৪৬১) : সমাজে প্রচলিত রয়েছে, রাসূল (ছাঃ) যে আংটি ব্যবহার করতেন সেখানে আল্লাহ, রাসূল এবং মুহাম্মাদ লেখা ছিল। এ বক্তব্যের কোন সত্যতা আছে কি?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377
-রাজু ইসলাম

সাতানী বাজার, সাতক্ষীরা।

উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক (বুখারী হা/৩১০৬)।

প্রশ্ন (২২/৪৬২) : জনৈক আলেম শবেবরাতের অনুষ্ঠানে বলেন, মদীনায় অবস্থিত রাসূল (ছাঃ)-এর কবর সর্বোত্তম স্থান। এমনকি তা মাসজিদুল হারাম এবং আল্লাহর আরশের চেয়ে অধিক মর্যাদাসম্পন্ন। উক্ত বক্তব্যের কোন ভিত্তি আছে কি?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377
-আশেক আলী, কেশবপুর, বি-বাড়িয়া।

উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভ্রান্ত ছূফীদের বক্তব্য। যার কোন ভিত্তি নেই। তবে হাদীছে রাসূল (ছাঃ)-এর বাসগৃহ এবং তাঁর মিম্বারের মাঝের স্থানটি জানণাতের বাগিচাসমূহের একটি বাগিচা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৯৪)। অন্য হাদীছে এসেছে, মসজিদে নববীতে ছালাত আদায়ে এক হাযার গুণ এবং মসজিদুল হারামে এক লক্ষ গুণ বেশী নেকী অর্জিত হয় (ইবনু মাজাহ হা/১৪০৬)। অতএব দুনিয়ার বিবেচনায় মসজিদুল হারামই সর্বোত্তম স্থান।

প্রশ্ন (২৩/৪৬৩) : ‘একটি মাছির কারণে এক ব্যক্তি জান্নাতে গেল এবং আরেক ব্যক্তি জাহান্নামে গেল’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটির সত্যতা জানিয়ে বাধিত করবেন।Welcome To Dj Billal mobile 01836946377

-সাজ্জাদ হোসাইন

রামপুরা, ঢাকা।

উত্তর : হাদীছটি মারফূ‘ হিসাবে যঈফ, তবে মওকূফ হিসাবে ছহীহ। শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, সালমান ফারেসী (রাঃ) হ’তে মওকূফ সূত্রে এর সনদ ছহীহ (ইমাম আহমাদ, আয-যুহুদ ১/১৫; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/৭৩৪৩, ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৩০৩৮)। তবে তিনি বলেন যে, আমার মনে হয়েছে এটি ইসরাঈলী বর্ণনা। আলবানী বলেন, সালমান ফারেসী যখন খ্রিষ্টান ছিলেন, তখন তিনি তাদের কোন সরদার থেকে এটি শুনে থাকতে পারেন (আলোচনা দ্রঃ সিলসিলা যঈফাহ হা/৫৮২৯)।

ঘটনা এই যে, বিগত যুগে দু’জন মুসলমান একটি মূর্তির নিকট দিয়ে যাচ্ছিল। তখন সেখানকার খাদেমরা বলল, তোমরা একটা মাছি হ’লেও এখানে দান করে যাও। প্রথমজন দিল এবং তাকে ছেড়ে দেয়া হ’ল। কিন্তু দ্বিতীয়জন বলল, আমি আল্লাহ ব্যতীত অন্যের উদ্দেশ্যে দান করব না। তখন তাকে তারা হত্যা করল এবং লোকটি জান্নাতী হ’ল’। হাদীছটি সম্পর্কে শায়খ আলবানী বলেন, প্রথমজন দান করেছে জীবনের ভয়ে। অতএব সে জাহান্নামী হবে না। কেননা আল্লাহ বলেন, ঐ ব্যক্তির উপর শাস্তি নেই যে ব্যক্তিকে কুফরীর জন্য বাধ্য করা হয়েছে। অথচ তার হৃদয় ঈমানের প্রতি অবিচল...’ (নাহল ১৬/১০৬)।

প্রশ্ন (২৪/৪৬৪) : সন্তান গ্রহণে অক্ষম দম্পতি গরীবদের নিকট থেকে সন্তান ক্রয় করেন। এ ধরনের ক্রয়-বিক্রয় কি শরী‘আতসম্মত?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377

-আব্দুল আযীয

 কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।

উত্তর : স্বাধীন কোন মানুষকে ক্রয়-বিক্রয় করা হারাম এবং বড় গুনাহের অন্তর্ভুক্ত (বুখারী হা/২২২৭, মিশকাত হা/২৯৮৪)। নিঃসন্তান দম্পতি অন্যের সন্তান তার পিতামাতার সম্মতিতে লালন-পালনের উদ্দেশ্যে গ্রহণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে অর্থের বিনিময় বা সন্তানের আসল পিতৃপরিচয় গোপন করা সিদ্ধ নয়।

প্রশ্ন (২৫/৪৬৫) : নমরূদ মশার কামড়ে মারা গিয়েছিল বলে সমাজে যে ঘটনা প্রসিদ্ধ আছে তা কতটুকু নির্ভরযোগ্য?

-মুহাম্মাদ হেলালুদ্দীনWelcome To Dj Billal mobile 01836946377

লতীফগঞ্জ ফাযিল মাদ্রাসা, চাঁদপুর।

উত্তর : কুরআন ও হাদীছে নমরূদ কিভাবে মারা গেছে সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তবে তাফসীর ও ইতিহাসের গ্রন্থসমূহে পাওয়া যায় যে, মশা দ্বারা আক্রান্ত হয়ে সে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল (কুরতুবী, ইবনু কাছীর, বাক্বারাহ ২৫৯-এর তাফসীর দ্রঃ)। তবে এ সবই ইসরাঈলী বর্ণনা। যার সত্য বা মিথ্যা কোনটাই প্রমাণ করা যায় না (বুখারী, মিশকাত হা/১৫৫)। 

প্রশ্ন (২৬/৪৬৬) : আট মাস গর্ভাবস্থায় থেকে ভূমিষ্ট হওয়ার পূর্বেই মৃত্যুবরণকারী সন্তানের জানাযা ও কাফন-দাফনের ব্যাপারে শরী‘আতের নির্দেশনা কি?Welcome To Dj Billal mobile 0183694637
7

-মুহাম্মাদ সৌরভ, টঙ্গী, ঢাকা।

উত্তর : গর্ভচ্যুত মৃত সন্তানের জানাযা করার প্রয়োজন নেই। কেননা হাদীছে বাচ্চার ‘চীৎকার করার’ কথা এসেছে (ইবনু মাজাহ, দারেমী, মিশকাত হা/৩০৫০, সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৫৩)। গর্ভচ্যুত সন্তানের জানাযা করতে হবে মর্মের ‘আম ছহীহ হাদীছের (আবুদাউদ হা/৩১৮০; মিশকাত হা/১৬৬৭) ভিত্তিতে একদল বিদ্বান গর্ভচ্যুত মৃত সন্তানের জানাযা করার জন্য বলেন। জবাবে শাওকানী বলেন, মায়ের গর্ভে চার মাস অতিক্রম করাটাই শিশুর জীবনের প্রমাণ নয়, বরং ভূমিষ্ট হওয়ার পর কান্নাটাই তার জীবনের প্রমাণ হিসাবে গণ্য হবে। ইমাম মালেক, শাফেঈ, আওযাঈ ও জমহূর বিদ্বানগণ সেকথা বলেন (নায়ল ৫/৪৭; মির‘আত ৫/৪০৩-০৪, ৪২৪-২৫)। উক্ত বাচ্চাকে গোসল ও জানাযা ছাড়াই সাধারণভাবে কাফন-দাফন করবে [ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) পৃঃ ২৪৫]।

প্রশ্ন (২৭/৪৬৭) : মহিলাদের জন্য পরচুলা ব্যবহার করা জায়েয কি?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377
-ওমর ফারূক

মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

উত্তর : পরচুলা ব্যবহার করা জায়েয নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে পরচুলা লাগিয়ে নিল এবং যে লাগিয়ে দিল উভয়ের উপর আল্লাহ তা‘আলার অভিশাপ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৪৩০)।

প্রশ্ন (২৮/৪৬৮) : জনৈক আলেম বলেন, আবুদাঊদ হা/৪৭৫৩ হাদীছ দ্বারা বুঝা যায় যে, রাসূল (ছাঃ) প্রত্যেক মানুষের কবরে উপস্থিত হবেন এবং তিনি মীলাদের মজলিসেও হাযির হন। এর সত্যতা জানিয়ে বাধিত করবেন।Welcome To Dj Billal mobile 01836946377


-ইমরান, সাভার, ঢাকা।

উত্তর : উক্ত হাদীছ দ্বারা রাসূল (ছাঃ)-এর অন্যের কবরে উপস্থিত হওয়া প্রমাণিত হয় না। বরং সেখানে ফেরেশতাগণ রাসূল (ছাঃ) সম্পর্কে কবরবাসীকে জিজ্ঞেস করবেন সেটা বুঝানো হয়েছে। এছাড়া এর ভিত্তিতে রাসূল (ছাঃ)-এর মীলাদের মজলিসে আগমন করার দলীল গ্রহণ করা হাস্যকর বৈ কিছুই নয়। কেননা মৃত্যুর পরে অন্য মানুষের মত রাসূল (ছাঃ)-ও বারযাখী জগতে আছেন (মুমিনূন ১০০)। সেখান থেকে বেরিয়ে অন্যের কবরে বা মীলাদ অনুষ্ঠানে হাযির হওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। উল্লেখ্য যে, যারা রাসূল (ছাঃ)-কে ‘মানুষ’ মনে করেন না বরং ‘নূর’ বলে থাকেন এবং যারা আহমাদ ও আহাদ একই সত্তা বলে দাবী করেন, এরূপ ভ্রান্ত আক্বীদার লোকেরাই কেবল রাসূল (ছাঃ)-কে কবরে ও মীলাদ অনুষ্ঠানে সর্বত্র একই সাথে হাযির হওয়ার উদ্ভট কল্পনা করে থাকেন। এইসব অদ্বৈতবাদী ও সর্বেশ্বরবাদী আক্বীদা স্রেফ কুফরী আক্বীদা মাত্র। এসব থেকে তওবা করা আবশ্যক।

প্রশ্ন (২৯/৪৬৯) : কোন মুসলমানকে কাফের বলে অভিহিত করা যাবে কি?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377

-আফযাল আহমাদ

 শেফিল্ড, ইংল্যান্ড।

উত্তর : কোন মুসলিমকে কাফের বলে অভিহিত করা কবীরা গোনাহ। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, যাকে কাফের বলা হবে সে সত্যিকারে কাফের না হ’লে যে কাফের বলল তার দিকেই সেটা ফিরে আসবে (তিরমিযী হা/২৬৩৭; বুখারী হা/৬১০৩)। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি কর্তৃক তার (মুসলিম) ভাইকে কাফের বলাটা তাকে হত্যা করার মত অপরাধ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩৪১০)। বর্তমানে একশ্রেণীর ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে অন্য মুসলিমকে কাফের আখ্যাদানে খুব উৎসাহী দেখা যায়। এটি ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতে’র নীতিবিরোধী এবং ভ্রান্ত ফের্কা খারেজীদের চরমপন্থী আক্বীদার অনুরূপ। সুতরাং কাউকে ‘তাকফীর’ করার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অবলম্বন করা আবশ্যক।  

প্রশ্ন (৩০/৪৭০) : জনৈক আলেম বলেন, যে ব্যক্তি জুম‘আর খুৎবার পূর্বে মসজিদে আসতে পারল না, ঐ জুম‘আ থেকে পরবর্তী জুম‘আ পর্যন্ত তার কোন ছালাত কবুল হবে না। এ কথার কোন ভিত্তি আছে কি?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377

-মুঈদুল ইসলাম

সাঘাটা, গাইবান্ধা।

উত্তর: উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন।

প্রশ্ন (৩১/৪৭১) : আমাদের এলাকার অধিকাংশ আলেম ই‘তেকাফে বসা অবস্থায় গোসল করা যাবে না বলে ফৎওয়া দেন। এ ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে বাধিত করবেন।Welcome To Dj Billal mobile 01836946377
-আব্দুল হাই

ভারুয়াখালী, জামালপুর।

উত্তর: কথাটি সঠিক নয়। ই‘তেকাফ অবস্থায় গোসল করা জায়েয। গোসল মানুষের শারীরিক সুস্থতার জন্য একান্ত প্রয়োজন। আর রাসূল (ছাঃ) ই‘তেকাফ অবস্থায় প্রয়োজনীয় কাজ করেছেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২১০০)।

প্রশ্ন (৩২/৪৭২) : ঋণগ্রস্তের জন্য যাকাত আদায় করা ফরয কি?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377

- সুলতান

মির্জাপুর, গাযীপুর।

উত্তর: ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি নিছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হ’লে এবং তা এক বছর পূর্ণ হ’লে তার উপর যাকাত আদায় করা ফরয (তিরমিযী হা/৬৩১, মিশকাত হা/১৭৮৭)। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যাকাত আদায়ের পূর্বে তার ঋণ পরিশোধ করবে। হযরত ওছমান (রাঃ) বলেন, এটি (রামাযান) যাকাতের মাস। অতএব যদি কারো উপর ঋণ থাকে তাহলে সে যেন প্রথমে ঋণ পরিশোধ করে। এরপর অবশিষ্ট সম্পদ নিছাব পরিমাণ হ’লে সে তার যাকাত আদায় করবে (মুওয়াত্ত্বা মালেক হা/৮৭৩, ইরওয়া ৩/৩৪১ সনদ ছহীহ)। যদি ঋণ পরিশোধ না করে, তাহ’লে যাকাতযোগ্য সব সম্পদের উপরেই যাকাত আদায় করতে হবে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তাদের সম্পদ হ’তে ছাদাক্বা (যাকাত) গ্রহণ কর। যার দ্বারা তুমি তাদেরকে পবিত্র করবে এবং পরিশুদ্ধ করবে’ (তওবা ৯/১০৩)।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-কে ইয়ামনের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করে বললেন, তুমি তাদেরকে জানিয়ে দিবে, ‘আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর তাদের সম্পদের মধ্য থেকে ছাদাক্বা (যাকাত) ফরয করেছেন। যেটা তাদের ধনীদের নিকট থেকে গ্রহণ করা হবে এবং তাদের দরিদ্রদের মাঝে বণ্টন করা হবে’ (বুখারী হা/১৩৯৫)। এখানে ঐ ধনী ব্যক্তিরা ঋণগ্রস্ত  কি-না, সেটা শর্ত করা হয়নি।

প্রশ্ন (৩৩/৪৭৩) : জনৈক ইমাম ছাহেব প্রত্যেক জুম‘আর ছালাতের দ্বিতীয় রাক‘আতে রুকূর পর দো‘আ কুনূত পাঠ করেন। এরূপ আমল কি শরী‘আতসম্মত?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377
-আব্দুল হাকীম

মোহনপুর, রাজশাহী।

উত্তর : কুনূতে নাযেলাহ যে কোন ওয়াক্তেই পাঠ করা যায় (মুসলিম হা/৬৭৮, নাসাঈ হা/১০৭৬)। তবে জুম‘আর ছালাতকে এজন্য নির্দিষ্ট করা ঠিক নয়। রাসূল (ছাঃ) দীর্ঘ এক মাস যাবৎ বিশেষ কারণে এ দো‘আ পাঠ করেছিলেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, আবু দাঊদ, মিশকাত হা/১২৮৯-৯০)। কিন্তু কেবল জুম‘আর ছালাতকে এর জন্য নির্ধারণ করেছিলেন মর্মে প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং ইমাম নাখঈ, তাঊস, মাকহূল প্রমূখ বিদ্বানগণ এটাকে বিদ‘আত বলেছেন (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/৫৪৫৫-৫৭)। ইমাম মালেক (রহঃ) এটাকে ‘মুহদাছ’ বা ‘নব্যসৃষ্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন (আল-ইস্তেযকার ২/২৯৩)। সুতরাং এরূপ আমল থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক।

প্রশ্ন (৩৪/৪৭৪) : হাততালি দেওয়ার ব্যাপারে শরী‘আতের বিধান কি?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377
 -তোফাযযল হোসাইন

কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট, নাটোর।

উত্তর: এটি অমুসলিমদের অনুকরণে একটি সামাজিক কুপ্রথা মাত্র। মক্কার কাফেররা শিস দেওয়া ও তালি বাজানোর মাধ্যমে কা‘বাগৃহের পাশে তাদের উপাসনা করত (আনফাল ৩৫)। অতএব হাততালি বা বাঁশি বাজানো জাহেলী আরবদের রীতি, যা বর্জনীয়। খুশী বা আনন্দঘন মুহূর্তে আলহামদুলিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার ইত্যাদির মাধ্যমে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করাই শরী‘আতসম্মত (ইবনু মাজাহ হা/৩৮০৩; ছহীহাহ হা/২৬৫; বুখারী হা/৬২১৮-১৯, ৪৭৪১)।

প্রশ্ন (৩৫/৪৭৫) : ফিদইয়া প্রদানের পর সক্ষমতা ফিরে আসলে উক্ত ছিয়াম আদায় করতে হবে কি?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377
-রামাযান আলী, দোহার, কাতার।

উত্তর : ফিদইয়া প্রদানের পর সক্ষমতা লাভ করলেও উক্ত ছিয়ামের ক্বাযা আদায় করতে হবে না। কারণ আল্লাহ তা‘আলা এর জন্য কেবল ফিদইয়া আদায়েরই নির্দেশ দিয়েছেন (বাক্বারাহ ২/১৮৪), ক্বাযা আদায়ের নয়।

প্রশ্ন (৩৬/৪৭৬) : রামাযান মাসে সাহারী খাওয়ার পূর্বে স্বপ্নদোষ হ’লে সাহারীর পূর্বেই পবিত্র হওয়া আবশ্যক কি?

-মুখলেছুর রহমানWelcome To Dj Billal mobile 01836946377
বামনডাঙ্গা, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা।

উত্তর : আবশ্যক নয়। তবে ফজরের ছালাতের জন্য অবশ্যই ফরয গোসল করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) নাপাক অবস্থায় সকাল করেছেন এবং ছিয়াম পালন করেছেন (মুসলিম হা/১১১০)।

প্রশ্ন (৩৭/৪৭৭) : অমুসলিমদেরকে সালাম প্রদানের বিধান কি? যদি সালাম প্রদান না করা যায়, তবে তাদের সাথে সাক্ষাতের সময় কি বলা উচিত?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377

-আল-আমীন


মধ্যহাতাশ, নওগাঁ।

উত্তর : অমুসলিমদেরকে সালাম দেওয়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ইহূদী ও নাছারাদেরকে প্রথমে সালাম দিবে না’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৬৩৫)। তবে যদি তারা সালাম দেয় তবে শুধু ‘ওয়াআলাইকুম’ বলে উত্তর দিতে হবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৬৩৭)।

সাধারণভাবে অমুসলিমদের প্রতি শিষ্টাচার মূলক সম্ভাষণ করা যাবে। যেমন ‘আদাব’ অর্থাৎ ‘আমি আপনার প্রতি শিষ্টাচার প্রদর্শন করছি’। কিন্তু আক্বীদা ও আমল বিরোধী কিছু বলা বা করা যাবে না। যেমন কোন হিন্দুকে ‘নমস্কার’ বলা যাবে না। কেননা এর অর্থ ‘আমি আপনার সামনে মাথা ঝুঁকাচ্ছি। আপনি কবুল করুন’। অমনিভাবে ‘নমস্তে’ বলা যাবে না। কেননা এর অর্থ ‘আমি আপনার সামনে ঝুঁকছি’।  

প্রশ্ন (৩৮/৪৭৮) : রাসূল (ছাঃ) জনৈক ব্যক্তিকে অভাবমুক্ত হওয়ার জন্য বিবাহ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মর্মে বর্ণিত হাদীছটির সত্যতা জানিয়ে বাধিত করবেন। যদি ঘটনাটি সঠিক না হয় তবে অসচ্ছলতার কারণে বিবাহ না করলে গোনাহগার হ’তে হবে কি?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377
-রহীদুল ইসলাম

দারুশা, পবা, রাজশাহী।

উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৪০০ আলোচনা দ্রঃ)। তবে বিবাহের মাধ্যমে অভাব দূর হওয়ার ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন আছে, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও ... তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দিবেন’ (নূর ২৪/৩২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ স্বীয় কর্তব্য হিসাবে নির্ধারণ করেছেন, তাদের একজন হ’ল, বিবাহে ইচ্ছুক ব্যক্তি যে বিবাহের মাধ্যমে পবিত্র জীবন-যাপন করতে চায় (তিরমিযী, মিশকাত হা/৩০৮৯)। নবী করীম (ছাঃ) জনৈক যুবকের বিবাহহীন থাকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘আমি বিবাহ করেছি। যে ব্যক্তি আমার তরীকাকে অস্বীকার করবে সে আমার দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত নয় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৪৫)।

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন কোন ব্যক্তি বিবাহ করল, তখন সে দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করল’ (বায়হাক্বী, মিশকাত হা/৩০৯৬, সনদ হাসান)। সুতরাং বিবাহ না করলে ব্যক্তি গোনাহগার না হলেও এতে শরী‘আতের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধানকে অগ্রাহ্য করা হয়।

প্রশ্ন (৩৯/৪৭৯) : সারোগেসী (Surrogacy) পদ্ধতিতে বর্তমানে সন্তান গ্রহণ করা হচ্ছে। এ পদ্ধতি শরী‘আতসম্মত কি?

-আমীনুল ইসলামWelcome To Dj Billal mobile 01836946377

 কোমরগ্রাম, জয়পুরহাট।

উত্তর : এ পদ্ধতিতে সন্তান গ্রহণ করা হারাম। কারণ এ পদ্ধতিতে স্বামী-স্ত্রীর শুক্রাণু ও ডিম্বাণু টেস্টটিউবে পরাগায়ণ করে তৃতীয় একজন মহিলার গর্ভে স্থাপন করে তার মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। এভাবে একজন গায়ের মাহরাম মহিলার গর্ভে অপরিচিত নারী-পুরুষের বীর্য প্রবেশ করানো পরিষ্কারভাবে ব্যভিচারের সদৃশ। এটা পশ্চিমা বস্ত্তবাদী সভ্যতার একটি ঘৃণ্য অনুষঙ্গ মাত্র। মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার নিরিখে এ পদ্ধতি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং এই হারাম পদ্ধতি অবলম্বন থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক।

প্রশ্ন (৪০/৪৮০) : হজ্জব্রত পালনকালে এহরাম অবস্থায় কেউ মৃত্যুবরণ করলে তার শরীরে সুগন্ধি লাগানো যাবে কি?Welcome To Dj Billal mobile 01836946377

- সৈয়দ ফয়েয

দেবিদ্বার, কুমিল্লা।
উত্তর : এমতাবস্থায় তার শরীরে সুগন্ধি লাগানো যাবে না। জনৈক ছাহাবী আরাফার মায়দানে এহরাম অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে রাসূল (ছাঃ) তার শরীরে সুগন্ধি লাগাতে ও মাথা ঢাকতে নিষেধ করেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৬৩৭)।


দৃষ্টি আকর্ষণ
প্রিয় পাঠক-পাঠিকা ভাই ও বোনেরা!
মাসিক আত-তাহরীক সূচনালগ্ন থেকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক দাওয়াত ও তাবলীগের মাধ্যমে দ্বীনে হক প্রচারে নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। নিয়মিত প্রকাশনার ১৬ বছর পেরিয়ে আপনাদের প্রিয় আত-তাহরীক আগামী অক্টোবরে ১৭তম বর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছে ইনশাআল্লাহ। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় আমরা পাঠকদের সামর্থ্যের বিষয়টি মাথায় রেখেই পত্রিকার মূল্য নির্ধারণ করেছি। দেশের দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতি সত্ত্বেও আমরা দীর্ঘ দিন এর মূল্য বৃদ্ধি করিনি। এর মধ্যে কাগজ ও কালির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপকভাবে। ছাপা, বাঁধাই ও ফিল্ম খরচও বেড়েছে অনেকগুণ। সেকারণ পূর্ব নির্ধারিত মূল্যে পত্রিকা সরবরাহ দুরূহ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া বহু বিজ্ঞ পাঠক ও লেখক ‘আত-তাহরীক’ সংরক্ষণের সুবিধার্থে হোয়াইট পেপারে (সাদা কাগজে) ছাপানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তাই আগামী অক্টোবর/১৩ (১৭তম বর্ষ ১ম সংখ্যা) থেকে আপনাদের প্রিয় ‘আত-তাহরীক’ সাদা কাগজে  ছাপানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বিধায় আত-তাহরীকের মূল্য ১৬/- টাকার পরিবর্তে ২০/- টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী অক্টোবর’১৩ থেকে নতুন মূল্য কার্যকর হবে ইনশাআল্লাহ। আত-তাহরীকে খিদমতের তুলনায় এ নতুন মূল্য বৃদ্ধি পাঠকদের মনোকষ্টের কারণ হবে না বলে আমাদের একান্ত বিশ্বাস। পাঠক, গ্রাহক ও এজেন্টদের এই সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। -সম্পাদক।

Comments

  by Html Comment Box
(Sept 8, 2013) Anonymous said:

    মাযহাবী ইমামের পিছনে সালাত আদায় করা যাবে কি ?

(Sept 5, 2013) Anonymous said:

    আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত ভাই আপনি কাদেরকে দেখাতে বা জানাতে বা শুনাতে চান যারা অন্ধ , বধীর , বোবা (2:18)তাদেরকে ? আল্লাহ যাদের চোখে পর্দা ফেলেদিয়েছেন তাদেরকে ? হক্ব আসার আগপর্যন্ত আবু জাহেল আবুল হেকেম ছিল কিন্তু যখন হক্ব আসল এবং তা প্রত্যাখান করল এবং জেনেও তা গোপন করল তখন হয়ে গেল আবু জাহেল ।তার শত পান্ডিত্য কোন কাজে লাগে নাই ।তবে রাসূল সঃ তাদেরকে দাওয়াত দিয়েছেন এবং হেদায়েতের জন্য দোয়া করেছেন ।আমরাও জ্ঞানীদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন তারা আবুজাহেলদের কাতারে নাপড়েন ।আমিন !!

(Sept 4, 2013) Ahlus sunnat wal zamat said:

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ

    আমার উম্মতের একদল লোক সর্বদা আল্লাহর হুকুমের উপর অবিচল থাকার জন্য শত্রুর বিরুদ্ধে ক্বিতাল (লড়াই) করতে থাকবে। যারা তাদের বিরোধিতা করবে তারা তাদের কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। এভাবে কিয়ামাতের মুহূর্ত এসে যাবে এবং তারা হক্ব প্রতিষ্ঠায় শত্রুর মোকাবেলা করতে থাকবে।(সাহিহ মুসলিম; কিতাবুল ইমারাহ অধ্যায়, হাদীস নং ৪৭২১, ই.ফা. ৪৮০৪)

    রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু অবশ্যই ঠিক বলেছেন, “যারা তাদের বিরোধিতা করবে তারা তাদের কোনই ক্ষতি করতে পারবে না।” কোন বোমারু বিমান বা চোরাগুপ্তা ড্রোন তাদের সামান্যতম ভীত করতে পারবে না। সাদাকালো-হলুদ মিডিয়া অথবা কোন দরবারি ফতোয়া তাদের মনোবল এতটুকুও কমাতে পারবে না। আন্তর্জাতিক সমঝোতার প্রলোভন কিংবা নানা রকম হুমকি-ধামকির কোনটাই তাদের প্ররোচিত করতে পারবে না।

    আমরা তাদের স্বীকৃতি দেই আর নাই দেই তাতে তাদের কিছুই যায় আসে না

    (১) আল্লাহ্‌ তাদের ঠিকই ভালবাসেন আর (২) তারাও আল্লাহ্‌কেই সবচেয়ে বেশী ভালবাসেন। (৩) তারা নিজেদের রক্ত দিয়ে হলেও মুমিনদের রক্ষায় বিনম্র (৪) আর বি-৫২ বিমানের বিরুদ্ধে একে-৪৭ দিয়ে হলেও কাফেরদের প্রতি কঠর। (৫) কেউ তাদের সহযোদ্ধা না হলেও তারা ঠিকই নির্ভীক চিত্তে জিহাদের ময়দানে অবিচল এবং (৬) রাম-সাম, যদু-মদু কারো নিন্দারই পরওয়া করার সময় তাদের নেই। এটা তাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ যা তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী। আমরা তাঁর কাছেই হেদায়াতের প্রাচুর্য এবং দিশার জ্ঞান চাই।

    আবার একবার মিলিয়ে দেখুন সুরা মা’ঈদার ৫৪ নং আয়াত। মিলিয়ে দেখুন উল্লেখিত সবকটা হাদীস। দেখুন কাদের সাথে এর সবগুলো হুবহু মিলে যায়। খুব কি কঠিন? খুবকি অস্পষ্ট? নাকি দেখেও দেখতে চাচ্ছেন না? -

(Sept 2, 2013) Ahlus sunnat wal zamat said:

    মার্কিন সরকারের প্রটোকল বিভাগের বরাত দিয়ে হাফিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছর দায়িত্বে থাকা অবস্থায় হিলারি সবচেয়ে দামি উপহারটি পেয়েছেন সৌদি আরবের বাদশা আবদুল্লাহর কাছ থেকে। হিলারিকে প্রায় পাঁচ লাখ ডলার সমমূল্যের অলংকার দিয়েছিলেন তিনি। ওই উপহারসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে কণ্ঠহার, হাতের বালা, আংটি ও কানের দুল। সাদা-স্বর্ণের অলংকারগুলো চুনি ও হিরার কারুকার্য-মণ্ডিত।

(Sept 1, 2013) Anonymous said:

    Amar prosnor uttor pelam na

(Aug 31, 2013) হাসিব said:

    কেন যেন চরমপন্থী আর কিছু পীর ভাইরাই কেবল একই দিনে ঈদ নিয়ে বাড়াবাড়ি করছেন। আচ্ছা বরুন তো ভাই একইদিনে ঈদ না করলে কি গোনাহ হবে এমনটা কি আজ পর্যন্ত কোন আলেম বলেছেন? যদি না বলে থাকেন তবে অযথা এসব নিয়ে হৈ চৈ না করে আসুন সত আমল করে যাই এরূপ সামান্য কিছু ভুল হলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন ইনশাআল্লাহ।

eek.com/september2013/question.html#sthash.6eQn77HH.dpuf
Welcome To Dj Billal mobile 01836946377

২টি মন্তব্য: